শাহ মোহাম্মদ রায়হান বারী
করোনার প্রাদুর্ভাবে রংপুরে লোকসানের মুখে পড়েছেন সবজি চাষিরা।দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকার আসতে না পারায় অনেক চাষিদের ক্ষেতের সবজি নষ্ট হচ্ছে ক্ষেতেই।
এই সংকটময় সময়ে কৃষকের কাছ থেকে ন্যায্যমূল্যে সবজি কিনে তা বিনামূল্যে বিতরণ শুরু করেছে,জাতীয় পার্টির অঙ্গ সংগঠন" জাতীয় ছাএ সমাজ"
উত্তর অঞ্চলের সবজির ভাণ্ডারখ্যাত রংপুর। ধান, পাটসহ অন্যান্য অর্থকরী ও খাদ্যশস্য উৎপাদনের চেয়ে এ জেলায় শাকসবজি অধিক পরিমাণ উৎপাদন করেন কৃষকরা। কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে এ জেলায় দেড় হাজার ৫৭০ হেক্টর জমিতে পটোল,কাচামরিচ,টমেটো, বরবটি, কাঁকরোল, করলা, বেগুনসহ বিভিন্ন শাকসবজি আবাদ করেছেন কৃষকরা। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে ক্ষেতের ফসল নিয়ে বিপাকে পড়েছেন অনেক কৃষক।
স্থানীয় কিছু ব্যবসায়ী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শাকসবজি পাঠালেও ঢাকার বাইরের ব্যবসায়ীরা শাকসবজি কিনতে আসতে পারছেন না।
এতে করে মূল্য না পাওয়াসহ অনেক কৃষকের সবজি ক্ষেতেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ৩৩ নং ওয়ার্ডের নজির দিঘর গ্রামের কৃষক আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, 'শাকসবজির দাম নাই। ক্ষেতেই সব পচে যাচ্ছে। সবজি ক্ষেত থেকে তোলা ও বাজারে নিয়ে যেতে যে খরচ হয়, সেই তুলনায় বাজারে সবজির দাম নেই।
তাই সবজি না তুলে ক্ষেতেই রেখে দিয়েছি।
জাতীয় ছাত্র সমাজ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বলেন, 'কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁঁচবে'-এ স্লোগানকে বুকে ধারণ করে আমরা কৃষকের কাছ থেকে ন্যায্যমূল্যে সবজি কেনার উদ্যোগ নিয়েছি। জাতীয় ছাত্র সমাজের কেন্দ্রীয় কমিটির একটি দল সকালে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ১২ নং ওয়ার্ডের নজিরের হাট থেকে সবজি কেনার কার্যক্রম শুরু করে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে সবজি কিনে তা রংপুরের অসহায়, কর্মহীন শ্রমজীবীদের মাঝে বিতরণ করা হবে।
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. সরওয়ারুল হক বলেন, 'করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের আওতার বাইরে কৃষিপণ্য পরিবহন রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে তাদের পণ্য বিক্রি, ফসল চাষাবাদ নিয়ে কাজ করছে।